রাজনীতি

যুবদলের কোন যুবদলের ১৪০ জন নেতাকে বহিষ্কার? ৬০ জনকে শোকজ…

সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের কারণে সারাদেশে যুবদলের ১৪০ জন নেতাকে বহিষ্কার ও ৬০ জনকে শোকজ করা হয়েছে। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন এসব তথ্য জানান। 

তিনি বলেন, বেআইনি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। যারা দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অন্য দল যেখানে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীদের রক্ষা করে বিএনপির সেখানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। ভবিষ্যতে যাতে কেউ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে না পারে সে জন্য যুবদল কঠোর নীতি গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি। 

নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মধুসূদন দে এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটি বলছে, অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুসূদন দে (মধুদা) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক-হানাদার বাহিনী পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইটের হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহিদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ, পরবর্তীতে ‘ইসলামি ছাত্রশিবির’ নামে পরিচিত-কে নিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।  ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এক বিবৃতিতে বলেন, শহিদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহিদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহিদ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মহান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং বীর শহীদদের অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *