বিনোদন

হতাশ হয়ে পড়েছিলেন  দীঘি

শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়ার পর বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। কিন্তু দমে যাননি তিনি। শরীরকে ফিট করার জন্য আরও কঠিন পরিশ্রম চালিয়ে গেছেন দীঘি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বডি শেমিংয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন দীঘি।

তার কথায়, ‘যে মানুষটার বডি শেমিং আরেকটা মানুষ করছে, আদৌ সেই মানুষটি বডি শেমিং নিয়ে কতটা সিরিয়াস কিংবা সে কীভাবে এটিকে গ্রহণ করছে, তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, তা না চিন্তা করেই তো বলে ফেলি আসলে। হতে পারে সে অনেক ট্রমাটাইজড এটি নিয়ে, সে অনেক ফ্রাস্ট্রেটেড বডি শেমিংটা নিয়ে।’

বডি শেমিং নিয়ে একটা সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন জানিয়ে দীঘি বলেন, ‘একটা সময় ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এত এত শুনতাম, এতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। একটা সময় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখন ডায়েট হচ্ছে না, জিমও হচ্ছে না; আবার মোটা হয়ে গেলাম। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতেই হবে, তখন আবার হলো কোভিড।’

দীঘি আরও বলেন, ‘সুস্থ হতে আমাকে অসম্ভব হাই পাওয়ারের ওষুধ দেওয়া হলো, যেটিতে স্টেরয়েড থাকে। সেটি শরীরে যাওয়াতে এতটা লেভেলে ফুলে গেলাম, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল কি একটা হয়ে গেছি আমি। আমার বডি অনেক ভারী হয়ে গেল এবং দুর্বল হয়ে গেলাম। আমি যে একটু না খেয়ে থাকব এটি আমার পক্ষে সম্ভবই হয়ে উঠছিল না, তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের জন্য যেটি হয়, কিছুতেই শুকানো যায় না। একটা বছরের মতো ভুগতে হয়েছে, প্রচুর কষ্ট হয়েছে শুকাতে। তখনই মনে হয়েছে আমি মনে হয় আর পারব না।’

একটা সময় শিশুশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয়তা ছিল দীঘির। বর্তমানে নায়িকা তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় টিকটক, রিল ভিডিও বানানো নিয়ে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়েছেন দীঘি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *